মুন্সীগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা জাকির জেল হাজতে

মোজাম্মেল হোসেন সজল, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও শহর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক দ্রব্য মামলায় বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নম্বর আমলী আদালতে আত্মসর্মপণ করে জামিন করে জামিন চাইলে আদালত তা না মঞ্জুর করেন। আদালতের বিচারক সাহানা হক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। একই মামলায় তার চাচাতো ভাই জিয়াকেও জেল হাজতে পাঠানো হয়। এর আগে ওই মামলায় তারা হাইকোর্ট থেকে ২ মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছিল। ওদিকে অস্ত্র আইনে পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা অপর মামলায় বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসর্মপণ করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এই মামলায়ও জাকির হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন।

জানা গেছে, গত বছরের ২৩ নভেম্বর রাত ৭টার দিকে জাকির ও তার বাহিনী মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার চরশিলমন্দি গ্রামের জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান সুমন সমর্থিত সাগর শেখ-এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। সশস্ত্র হামলা চালায় দোকান পাটেও। পুলিশের উপস্থিতিতেই ব্যাপক গুলি বর্ষণ ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জাকির ও তার বাহিনী পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশ জাকিরের ভাগিনা শাওন (২৪) কে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। পুলিশ জাকিরের ঘর থেকে ৪টি রামদা ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করে। এই ঘটনায় সদর থানার এস আই নারায়ণ চন্দ্র বাদি হয়ে জাকিরকে প্রধান আসামি করে পরের দিন ৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করে। একই ঘটনায় শিলমন্দি গ্রামের সাগর শেখ বাদি হয়ে জাকির হোসেন, তার ভাই আল-আমিন ভাগিনা মাহমুদ হাসান সাগরসহ ১০ জনকে আসামি করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অপর আরেকটি মামলা দায়ের করে। এসব ঘটনাসহ নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে ওই বছরের ২৮ নভেম্বর দৈনিক আজকালের খবরে পাঁচঘড়িয়াকান্দি – চরশিলমন্দির আতঙ্ক জাকির বাহিনী: নিরীহ মানুষ জিম্মি -শিরোনামে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে মুন্সীগঞ্জে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এর আগে গত ২৮ জুলাই সকাল ১১ টার দিকে পাঁচঘড়িয়াকান্দি – শিলমন্দি গ্রামে তার বাহিনী নারকীয় তান্ডব চালায় একই দল সমর্থিত সাগর শেখের বাড়িতে। মাত্র ৩ হাজার টাকার লেনদেন নিয়ে সাড়র শেখ ও জাকির বাহিনীর জনৈক পাতিল জব্বারের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে। সাগর শেখ পাতিল জব্বারের কাছে পাওনা ৩ হাজার টাকা চাইলে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে জাকিরের লোকজন সাগর শেখের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায়। বাড়িঘর এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করে। ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। সাগর শেখের মা বিউটি বেগমের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও ঘরে থাকা ৪-৫টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। সাগর শেখকে কুপিয়ে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে। তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে ৩১ জুলাই সাগর শেখের চাচা শেখ লালন বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় জাকিরের ভাই আল-আমিন (২৫), ভাগিনা মাহমুদ হাসান সাত্তার বেপারী (২৬), চাচাতো ভাই জিয়া বেপারী (৪২), জিয়ার ছেলে রাব্বি বেপারী (১৯) ও জব্বার ওরফে পাতিল জব্বার আলী (৪০)সহ ১০ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়।

বাংলা ২৪ বিডি নিউজ
=====================

====================

যুবলীগ নেতা ও মুন্সীগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর জাকির জেল হাজতে

মোহাম্মদ সেলিম, মুন্সীগঞ্জ থেকে : শহর যুবলীগের সাংগঠনিক স¤পাদক ও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকিরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক দ্রব্য মামলায় বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নম্বর আমলী আদালতে আতœসর্মপণ করে জামিন চাইলে আদালত তা না মঞ্জুর করেন। আদালতের বিচারক সাহানা হক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। একই মামলায় তার চাচাতো ভাই জিয়াকেও জেল হাজতে পাঠানো হয়।এর আগে ওই মামলায় তারা হাইকোর্ট থেকে ২ মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছিল।

সদর থানার সেকেন্ড অফিসার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) সুলতান মিয়া রাতে জানান, গত বছরের ২৩ নভেম্বর রাত ৭টার দিকে জাকির ও তার বাহিনী মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার চরশিলমন্দি গ্রামের জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান সুমন সমর্থিত সাগর শেখ-এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। পুলিশের উপস্থিতিতে ব্যাপক গুলি বর্ষণ ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জাকির ও তার বাহিনী পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশ জাকিরের ভাগিনা শাওন (২৪) কে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। পুলিশ জাকিরের ঘর থেকে ৪টি রামদা ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করে। এই ঘটনায় সদর থানার এস আই নারায়ণ চন্দ্র বাদি হয়ে জাকিরকে প্রধান আসামি করে পরের দিন ৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করে। একই ঘটনায় শিলমন্দি গ্রামের সাগর শেখ বাদি হয়ে জাকির হোসেন, তার ভাই আল-আমিন ভাগিনা মাহমুদ হাসান সাগরসহ ১০ জনকে আসামি করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অপর আরেকটি মামলা দায়ের করে।

Leave a Reply