মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে লঞ্চ চলাচলে সৃষ্ট অচলাবস্থার সমাধান চতুর্থ দিনেও হয়নি। তবে বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষের সাথে অলোচনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ।
রোববার মাওয়া গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চগুলো মাওয়া ঘাট থেকে মাঝে মধ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। তবে তা শরিয়তপুরের মাঝি কান্দি ঘাট পর্যন্ত চলাচল অব্যাহত রেখেছে। দু-একটি লঞ্চ শিবচরের কাঠালবাড়ি ফেরি ঘাট পর্যন্ত গেলেও কাওড়াকান্দি ঘাট পর্যন্ত কোন লঞ্চ চলাচল করছেনা।কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে যাত্রীরা ফেরি, ট্রলার, সিবোটে করে পদ্মা পারি দিয়ে মাওায় আসছেন। তবে যাত্রীর তেমন চাপ না থাকায় যাত্রী দুর্ভোগ তেমন একটা নেই বললেই চলে।
ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র সি-ট্রাক থাকলেও তা চলাচল করতে দেখা যায়নি। রোববার পর্যন্ত ৪টি লঞ্চের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। হানজালা লঞ্চের মালিক মোশারাফ হোসেন নসু দাবি করেছেন, যে কারণ দেখিয়ে তার লঞ্চটি চলাচল স্থগিত করা হয়ে তার ধারের কাছে তিনি ছিলেন না। ঘটনার সময় তিনি ঢাকায় ছিলেন এবং তার কোন কর্মচারীও বন্দর কর্মকর্তার সাথে খারাপ আচরণ করেননি।
মাওয়া লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর চৌধুরী জানিয়েছে,গতকাল বিকেল পর্যন্ত সমস্যা সমাধানে কোন প্রকার অগ্রগতি হয়নি। তবে বিআইডব্লিউটিএর সাথে আলোচনায় তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার শাহ পরান নামে একটি লঞ্চ মালিক সমিতির ছাড় পত্র বা টাইম টেবিল না নিয়ে জোড় করে কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে মাওয়া ঘাটে আসলে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের সাথে বিবাদে মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে লঞ্চ চলাচলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
বাংলাপোষ্ট২৪
Leave a Reply