টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কামাড়খাড়া বাজারের রাস্তার পশ্চিম পাশের খালের অংশ দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। প্রায় ১ মাস ধরে এই নির্মাণ কাজ চললেও প্রশাসন রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে। স্থানীয় মূলচর অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জসিমউদ্দিনকে ৫ লাখ টাকা উৎকোচ দিয়েই এই নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ওই নির্মাণ কাজ টঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশ ৭-৮ দিন আগে বন্ধ করে দিয়ে আসলেও ফের দ্রুত গতিতে এ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীঘিরপাড় পদ্মা নদী থেকে কামাড়খাড়া হয়ে টঙ্গীবাড়ী পর্যন্ত সংযোগ খালের কামাড়খাড়া বাজারের পশ্চিম পাশের বিশাল অংশ দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ করছেন শ্রমিকরা। ওই স্থাপনা নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, মান্নান দেওয়ান, তাজুল ইসলাম, তোফাজ্জল হাওলাদার, স্বপন ঘোষ, কামাল বেপারি, জয়নাল শিকদার, মজিবুর শিকদার গংরা এই স্থাপনা নির্মাণ করছেন। রাস্তার পাশের খালের বিস্তীর্ণ অংশ দখল করে এই নির্মাণ কাজ চলায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কামাড়খাড়া স্বর্ণ গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষক জানান, জন্মের পর হতে আমরা এখানে খালটিকে দেখে আসছি। নৌ চলাচলসহ এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের জন্য এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ খাল। এটি এভাবে দখলের ফলে এই অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জসিমউদ্দিন প্রথমে এই নির্মাণ কাজ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বললেও পরে জানান, কামাড়খাড়া মৌজার আরএস ২৭১নং দাগের ব্যক্তিমালিকানা জমিতে এই বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে। সরকারি খাল কিংবা রাস্তার জমি দখল করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, রাস্তার পাশের সরকারি জমি রেখে এ নির্মাণ কাজ হচ্ছে। আর ওইখানে সরকারি ম্যাপে কোনো খাল নেই জানিয়ে উৎকোচ নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন তিনি।
যুগান্তর
Leave a Reply