শ্রীনগরে সাংবাদিকদের উপড় হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে

মো: আরিফ হোসেন: শ্রীনগরে কর্মরত সাংবাদিক অধীর রাজবংশী ও মীর রাতুলের উপর হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলার এজাহার ভূক্ত আসামীদের একজনকে গতকাল সোমবার সকালে থানা থেকে ৫০ গজের মধ্যে ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে। এছাড়া মামলার প্রধান আসামী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক জুয়েল লস্কর ও দ্বিতীয় আসামী শ্রীনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম হোসেন প্রিন্সকে দেখা গেছে শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ মেনানীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোকলেছুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে। অথচ অজ্ঞাত কারণে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।

গত শনিবার বিকালে উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল লস্কর ওরফে মলম জুয়েল ও দেউলভোগ এলাকার পারভেজের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাভাপতি প্রিন্স ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রুবেল জয়ের নের্তৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা পরিষদ থেকে ২০ গজ দূরে অবস্থিত তাজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ওই এলাকায় পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনকালে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার শ্রীনগর প্রতিনিধি অধির রাজবংশী ও দৈনিক রূপবানী পত্রিকার শ্রীনগর প্রতিনিধি মীর রাতুলের উপড় জুয়েল ও প্রিন্সের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী তাদের উপর হামলা চালায় ও তাদের ব্যাপক মারধর করে । এসময় সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের মটর সাইকেল এবং ক্যামেরা ভাঙচুর করে। মারাত্মক আহত দুই সাংবাদিককে প্রথমে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় অধীর রাজবংশী রবিবার বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় চার জনকে এজাহার ভূক্ত ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।

পরে গত রবিবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে শ্রীনগর প্রেসক্লাবসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। আসামী গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান আমাদের অফিসিয়াল ঝামেলা রয়েছে তাই আরো দুদিন অপেক্ষা করেন আসামী গ্রেপ্তারের জন্য আমারা চেষ্টা করবো।

Leave a Reply