গজারিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূর সাথে শারীরিক সম্পর্ক: অতঃপর

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে সেলিম নামের (৫০) স্থানীয় এক লম্পট। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে বিয়ের চাপ প্রয়োগ করলে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত লম্পট।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ জানান, গজারিয়া গ্রামের তার প্রতিবেশী মৃত হাবু বেপারীর জামাতা সেলিম মিয়া(৫০) এর সাথে তার দীর্ঘ দিনের প্রেমের স¤পর্ক ছিল। সে মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিল। মেয়েটিকে পারিবারিকভাবে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার ১মাস পর শশুর বাড়ীর লোকজন মেয়েটিকে গর্ভবতী মনে করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পর তারা নিশ্চিত হয় মেয়েটি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা এটা নিশ্চিত হবার পর শুশুর বাড়ী থেকে মেয়েটিকে তাড়িয়ে দিলে মেয়েটি তার বাবার বাড়ীতে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

মেয়েটির পরিবারে লোকজনকে অভিযুক্ত লম্পট সেলিম প্রথমে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে সে অস্কৃতি জানায়। ল¤পট সেলিম পলাতক থেকে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে সে মেয়েটির পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এদিকে লোক লজ্জার ভয়ে রীতিমত গৃহবন্দী নির্যাতিত গৃহবধূ। খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় গজারিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমা বেগম গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে বন্দী অবস্থা থেকে মেয়েটিকে মুক্ত করে আনেন।

গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এবিএমএস দোহা জানান,গতকাল রাতে মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিডিলাইভ

Leave a Reply