চেতনায় একাত্তরের ইফতার মাহ্ফিল

মিরকাদিম পৌরসভাস্থিত পিকনিক চাইনিজ রেস্তোরায় প্রতি বৎসরের ন্যায় ২৮শে রমজান চেতনায় একাত্তর উদ্যোগে এক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির বীরত্বগাঁথা ইতিহাসের ¯্রষ্টা শেখ হাসিনা বিষয়ক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল চেতনায় একাত্তর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহাম্মেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্টানের প্রধান অতিথি মিরকাদিম পৌর মেয়র মোঃ শহীদুল ইসলাম শাহিন। বিশেষ অতিথি মুন্সিগঞ্জ জেলা কৃষক লীগ সভাপতি মোঃ মোহসীন মাখন,জেলা আওয়ামী লীগ বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক কার্যকরি সদস্য হাজি শফিউদ্দিন আহম্মেদ, পৌর আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি ছালাউদ্দিন মুন্সী, মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধকালিন কমান্ডার এম.এ রহিম।

স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি বীরমুক্তিযোদ্ধা,শিক্ষকমন্ডলী সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে জেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ মোহসীন মাখন কলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার নাম স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক সফলতা এনে দিয়েছেন। তাই দেশের উন্নয়নের এই ধারা বজায় রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে জয়ী হতেই হবে।এই ক্ষেত্রে দলীয় অনুগত সৎ ও আদর্শবান প্রার্থীর বিকল্প নাই, ইতিপূর্বে যারা এম পি মন্ত্রি, প্রভাবশালী নেতা হয়েছেন, তাদের আমলনামা ভাল না, তাদের স্বজনপ্রিতি, দলীয় পরিক্ষিত তৃনমূল নেতা কর্মিদের সাইজ করে, জামাতী-বি এন পি আর সন্ত্রাসীদের লালন পালনের তাদের কলঙ্কিত ইতিহাস আওয়ামী লীগকে ক্ষতিগ্রস্থ্য করেছে, আওয়ামী লীগে গ্রুপিং আর ক্রন্দলের হোতা তারাই-নিজেদের হাতকে শক্তিশালী করতে তারা চিহৃত ডাকাত,সন্ত্রাসী আর রাজাকার সমর্থকদের দলে ভিড়িয়েছেন-চেয়ারম্যান মেম্বার বানিয়েছেন, বিভিন্ন লাভজনক পদে বসিয়েছেন, মালে মালে লালে লাল হয়ে গেছেন। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে যোগ্যপ্রার্থীকেই মনোনয়ন দিতে হবে।

প্রবীন রাজনীতিবিদ হাজী মো:সফিউদ্দিন বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার এই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সমাজে গ্রহনযোগ্যতা আছে এই ধরনের ব্যক্তিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা দলীয় মনোনয়ন দিবেন,সেটা আমরা নিশ্চিত-এর পূর্বে দলীয় ক্রন্দল ও গ্রুপিংয়ের সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামাতী ঢাকাত,সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগে ডুকে পড়েছিল আবার অনেকে তাদের দুর্নীতিবাজ আর আগুন সন্ত্রাসীর আস্তানায় ফিরতে শুরু করছেন কারন যতটুকু চাটার দরকার ছিল সেই চাটার কাজ শেষ, আগুন সন্ত্রাসের ভয়ে অনেকে বিদেশে আস্তানা গেড়ে ছিল, তারাও এম.পি হওয়ার লোভে ফিরতে শুরু করছে, তারা দলীয় অবস্থান তৈরী করতে বিগত জাতীয়,স্থানীয় নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন, যার জন্য আওয়ামী লীগ কর্তৃক বহিস্কার হয়ে পদ-পদবী হারিয়েছেন,তাদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠে বিচরন করছেন-যাহা আমাদের প্রিয়নেত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অমান্য করার মতো ছলচাতুরীপনা,এই সব সুবিধাবাদী লোকজন কি ভাাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা পেতে পারে,কথায় বলে না,নানা বাড়ী বিয়াইছে গাই আনন্দের আর সীমা নাই,এখনই দেখতে হবে কারা এই নানা-মামা বাড়ীর লোক যাদের জন্য অপকর্ম করেও পার পেয়ে যায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র শহীদুল ইসলাম শাহীন বলেন,বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন আর বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সফলতা এনে দিয়েছেন,আজ বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে আসিন সব কিছুই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার ফলে, আমি মনে করি বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বার বার দরকার, সবচেয়ে আনন্দের বিষয় দেশের মানুষ এইটা বুজতে পেরেছে, কারন সবাই সবার ভাল মন্দ বুজতে পারে, কার দ্বারা দেশের উন্নয়ন সম্ভব।

যাই হোক আগামী নির্বাচনের এখনও ১৮ মাস বাকী এরই মধ্যে একটি মহল পানি ঘোলা করছে উদ্দেশ্য একটাই ঘোলা পানিতে মৎষ্য শিকার করা , যতদিন বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পরিচালিত হবে,আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি কোন সুদখোর ইয়ানুস মহলের সাথে বিদেশে অশুভ পরিকল্পনা করে- আওয়ামী লীগের এম পি হয়ে সুদখোরের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।

গজানোর আগেই আমার প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মগ ডালা ভেঙ্গে দেওয়া হবে, তবে যারা আওয়ামী লীগের এম পি প্রার্থী হতে চান অনেকে এম পি ছিলেন এবং আছেন আমার জানা মতে নেত্রীর কাছে সংরক্ষিত তাদের আমলনামা ভাল না, দলীয় গ্রুটিং-দ্বন্ধ-সংঘাত- আর বিদ্রোহী প্রার্থীদের লালন পালনে তাদের কীর্তির শেষ নাই, আমি আগেই বলেছি যারা এম পি প্রার্থী হতে চান তাদের নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করবো না কারন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা যদি আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেন- তা হলে আমিও আগামী জাতীয নির্বাচনে প্রার্থী হযে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বিজয় উপহার দিতে চাই। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই আমার প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন তাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাব।

চেতনায় একাত্তর সম্পাদক অনুষ্টানের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামালউদ্দিন আহম্মেদ বলেন বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন তিনি একাত্তরের রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন ,তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা মাসিক ১০,০০০(দশ হাজার) টাকা করে প্রদান করছেন,এই বৎসর ঈদুল ফিতরে ৭৫০০/০০ টাকা প্রতি জন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ঈদ বোনাস প্রদান করেছেন।খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একাত্তরের স্বাধীনতা বিরুধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে মুক্তিযোদ্ধাদের এই সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে,তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদেও প্রজন্ম যতাসাধ্য ত্যাগ শিকাওে প্রস্তুত আছে।তিনি আরো বলে যারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অমান্য কওে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন-তাদেও দলীয় সিদ্ধান্তে জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল পদ পদবী থেকে বহিস্কার করেছেন, এই বহিস্কার প্রাপ্ত লোকদের নিয়ে কিছু এম পি প্রার্থী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করে প্রচাওে মাঠে নেমেছেন,যা দলীয় সিদ্ধান্তের অবমাননা,তাদের বিষয়ও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে,

কিছু লোক সুধখোর ইয়ানুসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিদেশ থেকে দেশে এসে আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা পেতে দেন দরবার শুরু করেছে, তাদের গতিবিধিও পর্যবেক্ষন করা জরুরী বলে আমি মনে করি।

সবদিক বিবেচনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে যে কোন মূল্যে এই ষড়যন্ত্র আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।

ইফতার মাহফিলে আরো যোগ দেন জেলা আওয়ামী লীগ বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহম্মেদ, রাশিয়া আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃকাজল, জর্না খন্দকার, কমান্ডার আঃরহিম,মতিউর রহমান মতি ভাই, বিরহী মোক্তার,নূরহাসান, মোঃআলী, সৌরব আহম্মেদ জনি, মাসুদ ফকরী খোকন, জুয়েল সরকার,অভিনেত্রী স্বর্নালী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। শাহ আলম মৃধার ব্যবস্থাপনায় সুষ্টু ও শান্তিপূন্নভাবে সকলে ইফতারে অংশ নেন এবং নুরপুর মসজিদের ঈমাম সাহেব মোনাজাত পরিচালনা করেন।

Leave a Reply