লৌহজংয়ে ভাগ্নের হাতে মামা খুনের ঘটনায় বোন জেল হাজতে

মুন্সীগঞ্জ উপজেলার লৌহজংয়ের দক্ষিণ মেদিনী মন্ডল গ্রামের ইব্রাহীম (৩৩) কে নির্মমভাবে লোহার টর্চ লাইট দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেললো ২ভাগ্নে ও বোন। এই ঘটনায় বোন গ্রেফতার হলেও পালাতক রয়েছে ২ভাগ্নে।

বিদেশ থেকে পাঠানো পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে আপন দুই ভাগ্নের হাতে খুন হয়েছে মামা ইব্রাহিম হাওলাদার ইব্রাহিমের স্ত্রী শিরিন আক্তার লিমা বাদী হয়ে দুই ভাগ্নে ও ননদকে আসামী করে লৌহজং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় শনিবার দিনগত রাতে নিহত ইব্রাহিম হাওলাদারের বোন সুলতানা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত ইব্রাহিম হাওলাদারের স্ত্রী শিরিন আক্তার লিমা জানান, আমার স্বামী র্দীঘ ১১ বছর সৌদি আরবে প্রবাসী ছিলেন। বিদেশ থেকে ১১ বছর যা রোজগার করেছে তা আপন বোন সুলতানার কাছেই সকল টাকা পয়সা পাঠিয়েছে। তিনি বলেন আমার স্বামীকে তার বোন সুলতানাই সৌদি আরব পাঠিয়েছে সেই সুবাদে সকল টাকা পয়সা তার কাছে পাঠায় বলে অভিযোগ করেন লিমা। তিনি বলেন, আমার স্বামীর নামে জমি কিনে দিবে বলে পাওনা টাকা দেই দিচ্ছি বলে তালবাহানা করে আসছে ননদ সুলতানা।

তিনি আরও বলেন গেল শুক্রবার আমি ও আমার স্বামী দুইজনে মিলে আমার বাপের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার প্রক্কালে আমার স্বামী ইব্রাহিমকে ঘর থেকে ডেকে নেয় বোন সুলতানা বেগম। পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই ভাগ্নে সেলিম ও শামিম টর্চ লাইট দিয়ে গলায় ও ঘারে আগাত করে।

তাৎখনিক ভাবে আমার স্বামী মাটি লুটিয়ে পরে। পরে স্থানীয়দের সহয়তায় শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় আমার ননদ ও দুই ভাগ্নেকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করছি। বাড়ির সবাই মিলে আমার স্বামী হার্ট এ্যাটাক করে মারা গেছেন বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নিহত ইব্রাহিমের বাবা মৃত রতন হাওলাদার পদ্মা সেতুর জমি অধিগ্রহনের টাকা সহ বিভিন্ন ইন্সুরেন্স কম্পানীর টাকা মিলিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষটাকা রেখে যান। সে সব টাকা বোন সুলতানা বেগমের হাতে ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানায়, মৃত রতন হাওয়াদারের মাওয়া বাজারে একটি দোকান রয়েছে সে দোকানের আয় দিয়ে ইব্রাহিমসহ এক বোন মায়ের সংসার চলছিল। বাবার রেখে যাওয়া টাকা থেকে ইব্রাহিমের আরও এক ভাই মৃত হাসু হাওলাদের চিকিৎসায় ব্যয় করেছে বলে জানান তারা।

তারা আরও জানায়, মৃত হাসু হাওলাদারের বিয়ের এক যুগ পার করলেও তার স্ত্রীকে বাড়ি উঠতে দেয় বোন সুলতানা বেগম। হাসু হাওলাদার বিগত ১৭ সালে হার্ট এ্যাটাক করে মৃত্যু বরন করেন। তারা আরও জানায়, মৃত রতন হাওলাদের দুই ছেলে ও ৪ মেয়ে একই বাড়ি থাকতো। উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার দক্ষিন মেদিনীমন্ডল এলাকায় বোন ও ভাগ্নে মিলে টর্চ লাইট দিয়ে পিটিয়ে ইব্রাহিমকে হত্যা করে।

এ বিষয়ে লৌজহং থানার ওসি অপারেশন মো, জাহাঙ্গীর হোসেন জানায়, নিহত ইব্রাহিমের স্ত্রী লিমা বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ১ নম্বর আসামী নিহতের বোন সুলতানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন আসামী সুলতানাকে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার দুই ছেলেকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, নিহত ইব্রাহিমের গলায় ও ঘারে এবং তার অন্ডকোষে আগাতের চিহৃ পাওয়া গেছে।

সময়ের কন্ঠস্বর

Leave a Reply