আবু বাক্কার মাঝি: মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের বলই গ্রামের সোলাইমান মৃধার ছেলে গোলাম মোস্তফা রানা (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে টঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে রাজধানী ঢাকার ফকিরাপুল পানির ট্যাংকির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার গ্রেফতার করে। রানার বিরুদ্ধে ফরিদপুর, দোহার, মুন্সীগঞ্জে ৩টি মামলায় ৩বছর ৭মাসের সাজা রয়েছে।
তাছাড়া ৬টি জিআর ও ২৫টি সিআর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। ২০০৪ইং সালে টঙ্গীবাড়ী বাজারে কাজী মার্কেটের ৩য় তলায় একটি অফিস সহ বাংলদেশের প্রায় ৬৪ জেলায় একশত এর অধিক শাখা খুলে কয়েকশত কোটি টাকা আতœসাৎ করেন এ দি ম্যাক্রিম গ্রুপ। পরে ২০১২ সাল থেকে পলাতক দি ম্যাক্সিম গ্রুপের এমডি গোলাম মোস্তফা রানা। টঙ্গীবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ শাহ্ মো: আওলাদ হোসেনের নিদের্শে টঙ্গীবাড়ী থানার এসআই মো: নূর আলম মিয়া, এসআই মো: তুহিনুর জামান, এএসআই হারুন উর রশিদ মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে ৭বছর পলাতক আসামী রানাকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে।
রানার প্রতারনার কাজে সহযোগীতা করত গ্রুপের পরিচালক উপজেলার রাউৎভোগ গ্রামের সুলতান, সালাম আর এ গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিল শহীদুল ইসলাম বারাকাতি। বারাকাতি ইতিপূর্বে মুন্সীগঞ্জে একটি মামলায় দীর্ঘ দিন জেল খেটে জামিনে আছে। আর পরিচালক সুলতান ও সালাম এখনো পলাতক তাদের বিরুদ্ধে ও অনেক মামলা রয়েছে। প্রতারক এ গ্রুপের প্রতারনায় নি:স্ব হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পরিচালিত বলিয়া সাধারন মানুষকে ভূল বুঝাইয়া টাকা আতœসাৎ এর অভিযোগ তুলেছে এ গ্রুপের গ্রাহকরা।
টঙ্গীবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ মো: আওলাদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, দির্ঘ তিনমাস তাকে ধরার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। অবশেষে আধুনিক প্রযুক্তি মোবাইল ফোন ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তার নামে ৩টি মামলায় ৩বছর ৭মাসের সাজা রয়েছে। তাছাড়া ৬টি জিআর ও ২৫টি সিআর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
যুগান্তর
Leave a Reply