মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ভাগ্যকুল ক্যাস্পের র্যাব-১১-এর অভিযানে একটি অত্যাধুনিক রিভালবার, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ইয়াবাসহ দোহার-নবাবগঞ্জের মামা-ভাগিনাবাহিনীর সেনেন্ড ইন কমান্ড ও একাধিক মামলার আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. খলিল (৩০) গ্রেপ্তার হয়েছে। বুধবার ভোর রাত ৩টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। সে দোহার থানার দক্ষিন জয়পাড়া(বুটিয়া) গ্রামের মৃত মন্নাফ বেপারীর পুত্র।
গতকাল বুধবার র্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞিপ্তিতে জানানো হয়, র্যাবের কাছে গোপন সংবাদ ছিল ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন দক্ষিন জয়পাড়া গ্রামস্থ মৃত মন্নাফ বেপারী বাড়িতে “মামা ভাগিনা বাহিনীর” কতিপয় সদস্য মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রির ও সেবনের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এরূপ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর কমান্ডার পুলিশ সুপার মোঃ এনায়েত হোসেন মান্নান এর নেতৃত্বে একটি চৌকস আভিযানিক দল উল্লেখিত ঘটনা স্থলে অভিযান পরিচালনা করলে নিম্মলিখিত শীর্ষ সন্ত্রাসী “মামা ভাগিনা বাহিনীর” সেকেন্ড-ইন কমান্ড মো. খলিল (৩০)-কে ১টি অত্যাধুনিক রিভলবার, ১টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র হাসুয়া, ১টি দেশী তৈরী অস্ত্র চাপাতি ও মাদকদ্রব্য ১০২পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের জিঞ্জাসাবদে ধৃত আসামী স্বীকার করেছে, তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, ডাকাতি, মারামারি মামলাসহ বিভিন্ন থানায় ৭টি মামলার রয়েছে। তাদের গ্রুপটি “মামা ভাগিনা” বাহিনী বলে পরিচিত। উক্ত বাহিনীর প্রধান জনৈক মিঞ্জু মামা বলে জানায়। সে নিজেকে বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে দাবী করে ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত বলে স্বীকার করে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ থানা এলাকার একটি চিহ্নিত সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসাবে চাঁদা না দিলে বিয়ে বাড়ীতে হামলা, মটর সাইকেল ছিনতাই, মাদক বেচা কেনা ও সেবন এবং স্থানীয় মেয়েদের যৌন হয়রানী করা, চুরি, মারামারি ইত্যাদি করে মামা ভাগিনা বাহিনীর নামে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন ভাবে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের আশিবার্দ নিয়ে অপরাধ কর্মকান্ডে তৎপর রয়েছে বলে জানায় র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে।
তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জনকন্ঠ
Leave a Reply