আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা, পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ, গুলি ও বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ পরের দিন সকাল ৮টার পর বন্ধ হলেও থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণ চলতে থাকে। এ সময় দুটি গ্রামের প্রায় ২০ বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কমপক্ষে আটজন আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে খাসকান্দি গ্রামের মামুন হালদারের সঙ্গে একই গ্রামের আহাম্মদ হালদারের বিরোধ চলে আসছিল।
এ বিরোধ কেন্দ্র করেই দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এর আগেও একাধিকবার এ দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় পুলিশ পাল্টা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল খন্দকার আশফাকুজ্জামান, সদর থানার ওসি আনিসুর রহমানসহ অর্ধশতাধিক পুলিশ খাসকান্দি গ্রামে গিয়ে সংঘর্ষ জড়িতদের ধাওয়া করে।
এ সময় আহাম্মদ আলী হালদার ও নজরুল গ্রুপের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ১০-১৫টি ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছুড়লে হামলাকারীরা কৃষিজমিতে নেমে পড়ে।
জমিতে পানি ও বড় বড় ধঞ্চে গাছ থাকায় পুলিশ তাদের ধরতে পারেনি। সেখান থেকেও তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে।
হামলাকারীদের দেশীয় অস্ত্র, বালতিভর্তি ককটেল নিয়ে ফসলি জমিতে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশের কেউ হতাহত হয়নি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, নজরুল হাওলাদারের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ জবাবে ফাঁকা গুলি ছুড়লে হামলাকারীরা কৃষিজমিতে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখান থেকেও তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল চার্জ করে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান তিনি।
যুগান্তর
Leave a Reply