ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, আতঙ্কে পরিবার

জেলার সিরাজদিখানে এক মোবাইল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। ব্যবসায়ীর পরিবার বলছে, হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ কারণে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে পরিবারটি।

ওই ব্যবসায়ীর নাম, শামীমের মিয়া (৩৫)। তিনি উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের চালতিপাড়া গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে। এবং পেশায় একজন মোবাইল ব্যবসায়ী।

গত মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ইউনিয়নের চালতিপাড়া মর্ডান গ্রীন সিটি এলাকায় তার ওপর হামলা চালিয়ে ২লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তার পিতা ও স্ত্রী স্থানীয় লোকজন শামীমকে উদ্ধার করে নিমতলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তবে দুর্বৃত্তরা পুনরায় হামলা চালাতে আসছে এমন খবর পেয়ে স্বজনেরা শামীমকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে তাঁকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর রাত সারে ১০ টায় কেয়াইন নিমতলা বাসস্ট্যান্ডের মোবাইল দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় মর্ডান গ্রীন সিটির সংলগ্ন সড়কে ১০/১৫জন দুর্বৃত্ত শামীমকে পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়। এসময় শামীমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তার বাড়ির লোকজনদের খবর দিলে পিতা ও স্ত্রী স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে নিমতলা আইডিয়াল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করা হয়।

ভুক্তভোগী শামীম মিয়া বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে কুপিয়ে জখম করে কাছে থাকা ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এখন পুলিশ কোনো ব্যবস্থা বা মামলা নিচ্ছে না। আমি আমার পরিবার নিয়ে এখন আতঙ্কের মধ্যে আছি।

শামীমের স্ত্রী চম্পা আক্তার বলেন, আমার স্বামীর মাথায় ৫টি সেলাই লেগেছে। তাঁর দুই পা ও হাত থেঁতলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আমাদের দোকান ভালো চলাতে এলাকার অত্মীয়-স্বজনদের নজর লেগেছে। এজন্য আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। আমার স্বামীকে তারা প্রাণে মেরে ফেলতে চাইছে। আজ তিন দিন হয়েছে থানায় অভিযোগ করেছি। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

শামীমের পিতা হাজী মো. ছিদ্দিক মিয়া বলেন, আমার ছেলে নিমতলা বাজারের একজন বিকাশ এজেন্ট ও মোবাইল ব্যবসায়ী। দুর্বৃত্তরা আমার ছেলেকে মেরে টাকা-পয়সা নিয়ে গেছে। পরের দিন আমরা সিরাজদিখান থানায় ছেলেকে বাদী করে লিখিত অভিযোগ করেছি কিন্তু থানায় মামলা রজ্জু করছে না পুলিশ।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, এ ধরনের ঘটনার কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজজি

Leave a Reply