চাকরিতে যোগ দেওয়া হলো না জাহিদের

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার চর বাউশিয়া এলাকা থেকে জাহিদ হোসেন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ১০টার দিকে ওই এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন নাবিস্কো কোম্পানির একটি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

উপজেলার টেংগারচর গ্রামের দরিদ্র কৃষক আবুল কালামের ছেলের। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তার সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদানের কথা ছিল। জাহিদ তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট।

এদিকে পুলিশের অবহেলার কারণেই জাহিদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করছে তার পরিবার। তারা বলছে, জাহিদ নিখোঁজের পর থানায় জিডি করার ১০ দিনেও পুলিশের কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।

স্থানীয়রা জানায়, গত দুইদিন থেকে দুর্গন্ধ পাচ্ছিল এলাকাবাসী। এদিকে দুর্গন্ধের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকলে বুধবার সকালে তার উৎস খুঁজতে গিয়ে বাগানের ভেতর অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে পুলিশে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করে তারা নিয়ে যায়। পরে শারীরিক গড়নের মিল থাকায় নিখোঁজ জাহিদ হোসেনের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। পরে জাহিদের পরিবার লাশ শনাক্ত করে।

নিহত জাহিদের বাবা আবুল কালাম বলেন, দুপুর ১টার দিকে পুলিশের ফোন পেয়ে তারা থানায় আসেন। লাশটি অর্ধগলিত হওয়ায় প্রথমে লাশের ছবি দেখে তারা শনাক্ত করতে পারেননি কিন্তু পরবর্তীতে লাশ দেখে এবং তার ছেলের গায়ে থাকা চাদর ও পায়ের জুতা দেখে তারা নিশ্চিত হন। তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

গত ৩১ জানুয়ারি ভোরে শরীর চর্চার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি সেনাবাহিনীতে সদ্য চাকরি পাওয়া জাহিদ হোসেন। এ ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারি গজারিয়া থানা একটি ডায়েরি করা হয়।

গজারিয়া থানার ওসি মো. রইছ উদ্দিন বলেন, পুলিশ একটি লাশ উদ্ধার করেছে। পরে স্বজনরা শনাক্ত করে লাশটি নিখোঁজ টেংগারচর গ্রাম থেকে নিখোঁজ হওয়া যুবক জাহিদের। লাশটির গায়ে আঘাতের চিহ্ন এবং লাশটি যেভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তা দেখে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছেন তারা। পুলিশের তদন্ত চলছে।

যুগান্তর

Leave a Reply