শ্রীনগর চকবাজারে শ্রম বিকিনিরি হাট

জেলার শ্রীনগরে আড়িয়ল বিলসহ উপজেলার বিভিন্ন চকে বা কৃষি জমিতে ধান, আলু, শীতকালীন শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসল আবাদের জন্য মাঠে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। এসব ফসলি জমি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য অসংখ্য কৃষি-শ্রমিক তাদের শ্রম বিক্রি করছেন বিক্রমপুর তথা মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে। আর মাঠে এই বিশাল কর্মযজ্ঞকে সামনে রেখে উপজেলার সদর এলাকার শ্রীনগর চকবাজরে শ্রম বিকিকির হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে।

জানা যায়, প্রতিদিন সূর্য উঠার আগে হাজারো শ্রমিক তাদের শ্রম বিক্রির জন্য জড় হচ্ছেন এখানে। ঘণ্টাব্যাপী শ্রম কেনাবেচায় সরব থাকে চকবাজার এলাকাটি। বিভিন্ন এলাকা থেকে গৃহস্তরা আসেন শ্রমিকের খোঁজে। বর্তমান শ্রম বাজারে একজন শ্রমিকে ৩ বেলা খাবার দিয়ে দৈনিক মজুরী ধরা হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা। তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ভিক্তিক শ্রমিকের পারিশ্রমিক মূল্য কিছুটা কম বেশি হতে পারে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শ্রীনগর বাজার জোড়া সেতুর দুপাশে শতশত শ্রমজীবী মানুষ দারিয়ে থেকে শ্রম বিক্রি করছেন। শ্রমিকরা জানান, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এই অঞ্চলে আসছেন কৃষি কাজে শ্রম বিক্রির জন্য। ধান-আলু চাষাবাদকে সামনে রেখে দুমাস শ্রম বিক্রি করবেন।

তারা জানান, দেশে চলমান অবরোধের কারনে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক শ্রমিক আসতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার তিন দোকান, বাড়ৈগাঁও বাজার, বাড়ৈখালী বাজার, নতুন বাজার, সিংপাড়া বাজার, তন্তর বাজারসহ অন্যান্য বাজারেও সকাল-বিকাল কৃষি শ্রমিকরা শ্রম বিক্রি করে থাকেন।

স্থানীয়রা জানায়, এলাকার গৃহস্তরা জমিতে কাজের জন্য চাহিদা অনুসারে শ্রমিক নিচ্ছেন। স্থানীয় বাজারগুলোতে সকালে ও সন্ধ্যায় শ্রমিকরা শ্রম বিক্রি করেন। উপজেলার আটপাড়া, তন্তর, কুকুটিয়া এলাকার আলু চাষীরা জানান, জমিতে পানি নিস্কাশন হলেই হালচাষ শুরু করবেন। এখন জমিতে জঙ্গল পরিস্কারের কাজ করা হচ্ছে।

তারা বলছেন, বিভিন্ন খাল-জলাশয় অপরিকল্পিতভাবে ভরাট ও দখলের ফলে এই অঞ্চলের কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা বাড়ছে। এতে কৃষি ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ছে। ধারনা করা হচ্ছে আগামী ১ মাসের মধ্যে জমি আলুর বীজ বপণ শুরু করতে পারবেন তারা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এসব কৃষি শ্রমিক তাদের শ্রম বিক্রির মধ্যে দিয়ে ফসল উৎপাদণের লক্ষ্যে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। এই অঞ্চলের কৃষিতে শ্রমিকদের ভুমিকা অপরিশিম। সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির

আমাদের সময়

Leave a Reply