জিতু রায়: মুন্সীগঞ্জ সদরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ময়না (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চসার ইউনিয়নের আদারিয়াতলা এলাকায় বসতঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নার পরিবার। এ ঘটনায় স্বামী জাকিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও নিহতের স্বজনেরা জানান, সদর উপজেলার চরমিরেশ্বরাই এলাকার আবুল হোসেনের মেয়ে ময়নার সঙ্গে ১১ বছর আগে জাকিরের বিয়ে হয়। সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল তাঁকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নার শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশিদের মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর খবর পায় স্বজনেরা। পরে শ্বশুরবাড়ির বসতঘর থেকে ময়নার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনেরা।
ময়নার পরিবারের অভিযোগ, গলায় রশি পেঁচিয়ে ময়না আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তবে প্রতিবেশিরা জানায়, আজ দুপুরে ময়নাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করেছে। মূলত নির্যাতন করেই তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে।
ময়নার বাবা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হতো। আজকে পরিকল্পিতভাবে শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ মিলে হত্যা করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’
নিহতের স্বামী জাকির বলেন, ‘দুপুরে আমি বাড়িতে ছিলাম না। মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়িতে আসি। শুনেছি বাবা-মা ময়নাকে মারধর করেছে। আমার বাবা প্রায়ই আমার স্ত্রীকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নির্যাতন করতেন।’
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এসএম ফেরদৌস বলেন, ‘মৃত অবস্থায় দুপুর আড়াইটায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁর গলায় গভীর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।’
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেছে তাঁর স্বজনেরা। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইনডিপেনডেন্ট
Leave a Reply