মুন্সীগঞ্জে জামানত হারালেন মাহী বি চৌধুরীসহ ২৩ প্রার্থী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ জেলায় ২৮ প্রার্থীর মধ্যে ২৩ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও তাদের দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রায় সব প্রার্থী আট শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন। নির্বাচন বিধি অনুসারে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীকে তার আসনের মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ পেতে হয়। এর চেয়ে কম ভোট পেলে ওই প্রার্থীর জামানত হারানোর বিধান আছে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার তথ্য অনুসারে মুন্সীগঞ্জ জেলায় মোট ভোটার ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৭জন। ভোট প্রদান করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৮৯৬ জন। গড়ে ৩৮ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ৮ হাজার ৯৮৬ জন।

এই আসনে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৬৭ জন। এ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির ছাড়া বাকি সাত প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

এদের মধ্যে জামানত হারিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশ কুলা প্রতীকের প্রার্থী মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৩৩টি।

এই আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নূরজাহান বেগম রিতা ৮৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেখ মহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ৪৭০ ভোট, তনমূল বিএনপির অন্তরা সেলিমা হুদা ৬৩৩৭ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আতাউল্লাহ ২৬৩৫ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির দোয়েল আক্তার ২৯৯ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির লতিফ সরকার ৩২০২ ভোট পেয়েছেন।

মন্সীগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি ছাড়া বাকি আটজন জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৫২ হাজার ৫১৬ জন। ১৩০টি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩৪ জন।

এই আসনে প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৩৮.১১ শতাংশ। স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা ট্রাক প্রতীকে ১৪ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

এছাড়া কামাল খান ডাব প্রতীকে ২১৭ ভোট, ছড়ি প্রতীকে নূরে আলম সিদ্দীক ২১০ ভোট, ঈগল প্রতীকে মোহাম্মদ সাইরাজ খান ৮৮০ ভোট, চেয়ার প্রতীকে মোহাম্মদ সহিদুর রহমান ৪৬০ ভোট, মো. জালাল ঢালী আম প্রতীকে ২৫৪ ভোট, সোনালী আঁশ প্রতীকে মো. জাহানুর রহমান ৪৭৪ ভোট, টেলিভিশন প্রতীকে মো বাচ্চু শেখ ৪৫৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

মন্সীগঞ্জ-৩ আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮০ হাজার ২৪৫। এর মধ্যে ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৯৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৩৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। মন্সীগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের পুত্র ফয়সাল বিপ্লব বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৮৯ হাজার ৬৯৫। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। তিনি পেয়েছেন ৮২ হাজার ৮৩৩ ভোট। এই প্রার্থী ছাড়া বাাক আট জন জামানত হারিয়েছেন।

এ ছাড়া লাঙল প্রতীকের এ এফ এম রফিকউল্লাহ সেলিম দুই হাজার ৯৩৬ ভোট, কেটলি প্রতীকে চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিন ৪৯ ভোট, চেয়ার প্রতীকে বাবলু মিয়া ৪৮৫ ভোট, টেলিভিশন প্রতীকে মমতাজ সুলতানা আহমেদ ৫৪ ভোট, মোমবাতি প্রতীকে মুহাম্মদ ওমর ফারুক ৬২০ ভোট, ঈগল প্রতীকে মো. আজিম হোসেন ১৯২ ভোট, মো.দুলাল হোসেন মন্ডল একতারা প্রতীকে ৭৪৩ ভোট, ছড়ি প্রতীকে মো. শাহিন হোসেন ১০৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

কালের কন্ঠ

Leave a Reply