মুন্সিগঞ্জের লৌহজং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক রোগী পানি ভেবে রাসায়নিক দ্রব্য পান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ভুক্তভোগী নারী নমিতা রাণী দাস (৩৮) মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নিমাই সরকারের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরের সময় মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় নমিতা রাণী দাসকে। তবে, পানি ভেবে রাসায়নিক দ্রব্য পানের বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে।
নমিতার বড় ভাই বলরাম চন্দ্র দাস জানান, আমার বোনের প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়ায় গত ২ মার্চ নারায়ণগঞ্জের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। সেখানে অপারেশন করে প্রস্রাবের জন্য ক্যাথেটার লাগানো হয়।
পরে আজ (১৪ মার্চ) বৃহস্পতিবার দুপুরে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমার বোনের ক্যাথেটার খোলার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সে অসুস্থবোধ করলে কর্তব্যরত নার্স পানি খাওয়ানোর কথা বলেন এবং পানির বোতল দেখিয়ে দেন। নার্সের দেখিয়ে দেওয়া বোতল থেকে পানি পান করানোর পরেই তার গলা মুখ পুড়ে যায়। পরে আমরা জানতে পারি নার্স যে বোতল দেখিয়ে দিয়েছে সেখানে পানি ছিলনা, রাসায়নিক পদার্থ ছিলো।
তিনি আরও বলেন, আমার বোনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের আইসিইউতে রেফার করা হয়। হাসপাতালে এখনো কোনো সিট পাইনি। বারান্দায় আমার বোনকে শুইয়ে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজমুস সালেহীন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে আমার হাসপাতালে কোনো ভর্তি রোগী ছিলনা এবং আমার হাসপাতালে কোন ডাক্তারও ওই নারীর চিকিৎসা করেন নাই। হয়ত তার পরিচিত কোনো নার্সের কাছে ক্যাথেটার খুলতে এসেছিল। প্রাথমিকভাবে আমি জানতে পেরেছি কোন নার্স তাকে পানি খাওয়ায় নাই। তবে, শনিবার আমরা তদন্ত করে দেখবো।
দেশ টিভি
Leave a Reply