মুন্সিগঞ্জের জাজিরা এলাকায় ২০ বছর বয়সী গৃহবধূ সামিয়া আক্তারকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। নিহতের পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ এবং নির্যাতনের ফলে ঘটেছে এই হত্যাকাণ্ড। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে, তবে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা এখনও পলাতক রয়েছেন।

খবর পেয়ে, বুধবার ভোররাতে সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের জাজিরা কুঞ্জনগর এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী কামাল বেপারির বাড়ি থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, দুই বছর আগে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মোল্লারচর এলাকার সামিয়ার সাথে জাজিরা এলাকার কামালের প্রেম গড়ায় প্রণয়ে। বিয়ের ৩ মাস পর মালয়েশিয়া চলে যান কামাল। এরপর কয়েক দফায় শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে ১৫ লাখ টাকা আদায় করেন কামাল।

এ নিয়ে স্বামীর পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল গৃহবধূ সামিয়ার। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যার পর বসতঘরে মরদেহ ফেলে রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।

রাতে এলাকাবাসীর কাছ থেকে ঘরে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ছুটে যান সামিয়ার স্বজনরা। এ সময় ফ্লোরে শোয়ানো অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব দে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে। তদন্ত শেষে নিহত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা মেইল