পদ্মায় পানি ১৭ ফুট কমে যাওয়ায় ধারণক্ষমতার অর্ধেক যানবাহন নিয়েও কাওড়াকান্দি-মাওয়া রম্নটে ফেরি স্বাভাবিক চলাচল করতে পারছে না। এই রম্নটের ২টি রো-রো ফেরিসহ ১১টি ফেরি ও সকল নৌযান চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নাব্য সঙ্কটে বন্ধ হওয়া মাওয়া-মঙ্গলমাঝির রম্নটটিও বর্ষার আগে আর চালু হচ্ছে না বলে বিআইডবিস্নউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুকুল হক জানিয়েছেন।

বিআইডবিস্নউটিএ জানায়, সেপ্টেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যনত্ম পদ্মায় প্রায় ১৭ ফুট পানি হ্রাস পেয়েছে। আগামী মার্চ মাস পর্যনত্ম একই ধারায় পানি হ্রাস পাবে। ফলে ফেরি ও লঞ্চ চলাচলকারী পদ্মার হাজরা-চরজানাজাত-মাওয়া চ্যানেলের হাজরা, লৌহজং ও চরজানাজাত টার্নিং পয়েন্টসহ অসংখ্য স্থানে ৬ ফুটের নিচে পানি অবস্থান করছে। ফলে ২টি রো-রো ফেরিসহ ১১টি ফেরিই ধারণক্ষমতার চেয়ে কম যানবাহন, কখনও অর্ধেক যানবাহন নিয়েও পারাপার হচ্ছে। তবে চলমান শুষ্ক মৌসুমে মাওয়া ঘাটের কাছে নতুন একটি চর জেগে উঠায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হাজরা-চরজানাজাত-মাওয়া চলমান চ্যানেলটি খুব বেশি উপকারে আসছে না যাত্রীদের। ফেরিসহ নৌযানগুলোকে এখনও ১৮ কিলোমিটার ঘুরেই চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া নদীর বুকে অসংখ্য ডুবোচর ওঠায় ও অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং করায় অপসারিত পলি আবারও চ্যানেলে আসায় সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করছে।

অপরদিকে হাজরা থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার নদীতে নাব্য সঙ্কট ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় আগামী মার্চ (বর্ষা মৌসুমের পানি না আসা পর্যনত্ম) পর্যনত্ম মঙ্গলমাঝির ঘাট বন্ধ করে চলমান কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ঘাট ব্যবহার করার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে বিআইডবিস্নউটিএ। ফলে শরিয়তপুরের যাত্রীরা গত কয়েকদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

রো-রো ফেরি শাহ মখদুমের মাস্টার ইনচার্জ মোঃ কামাল বলেন, ফেরি চলতে কমপক্ষে ৮ ফুট পানি প্রয়োজন। রানিং চ্যানেলের ৩টি টার্নিং পয়েন্টসহ অসংখ্যস্থানে পানি কম থাকায় আমরা ফেরিতে হালকা যানবাহন বা কম যান নিয়ে চলাচল করছি।

বিআইডবিস্নউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুকুল হক বলেন, নাব্য সঙ্কটে মাওয়া-কাওড়াকান্দি রম্নটটি সচল রাখতে ৩টি ড্রেজার দিন রাত কাজ করছে। এরপরও বর্ষার আগে শীরয়তপুর রম্নটের মঙ্গল মাঝির ঘাট সচল করা সম্ভব নয়।

বিআইডবিস্নউটিসির মাওয়ার এজিএম আশিকুর রহমান বলেন, যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে চ্যানেলে ড্রেজিংয়ের সাথে সাথে, মাওয়ার কাছে জেগে ওঠা চরটিকেও দ্রম্নত কাটতে প্রয়োজন।

[ad#co-1]