মুন্সিগঞ্জের চরাঞ্চলে পুলিশের ব্যাপক চাঁদাবাজি

পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার প্রায় ১০/১২টি গ্রামের মানুষ। চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ গ্রাম গুলো হচ্ছে চরডুমুরিয়া, আমঘাটা, চৈতারচর, কংশুপুরা, রাজারচর, আমুরান, মাকহাটি। এই এলাকায় সাধারণ মানুষ এক প্রকার আতংকিত ও ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে দিনপাত করছে। পুলিশের এই যাতনার কারণে কেউ স্বাভাবিক ভাবে তাদের দিনের কাজকর্ম করতে পারছে না। নানা কারণে সাধারণ মানুষ রাতে বাড়ীতে এখন ঘুমাতে পারছে না। তাদের মনে সব সময় পুলিশ এই বুঝি ধরে নিয়ে গেল। জানা গেছে, পুলিশ সাধারণ লোকজন ধরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আবার ছেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার কাউকে অত্যাচার নির্যাতন করছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে অসহায় মহিলাদের কান্নাকাটি তাপে পুলিশ অকথ্য ভাষার গালাগালি করে। এদিকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বসত ঘরের মানুষের রান্না ঘরের চুলা ভেঙে ফেলে।

মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা মোল্লা গ্রুপ ও মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার আ’লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম মল্লিকের গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ থানায় দু’গ্রুপের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের জড়িয়ে একাধিক মামলা হয়। মূলত আসন্ন মোল্লাকান্দি ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থিদের মধ্যে নিজের অবস্থান সুদৃড় করার জন্যই পেশি শক্তির লড়াই চলছে অনেক দিন ধরে। মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান আনিসের গ্রুপ অনুসরণ করেন মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা মোল্লা। তার সমর্থক চেয়ারম্যান হতে চান ব্যবসায়ি রিপন পাটোয়ারী। বর্তমান মোল্লাকান্দির ইউপি চেয়ারম্যান আজিজ মল্লিক গ্রুপরা সর্মথন করে রিপন পাটোয়ারি।

আর এদের বিপরীতে রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের অনুসারি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার আ’লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম মল্লিক। তার সমর্থনে এখানে চেয়ারম্যান হতে চান মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের সভাপতি ফরহাদ খাঁ ও কল্পনা। বিএনপি ব্যবসায়ি আওলাদ ও ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ গ্রুপ সমর্থন করে ফরহাদ খাঁকে। এসব কারণে এখানে সংর্ঘষের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। এদিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পুলিশ যাদেরকে আটক করার পর টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন তারা হচ্ছেন, আমঘাটা গ্রামের আশুরালী (৩৩)। তাকে প্রথমে আটক করে পরে ৩ হাজার টাকায় বিনিময়ে আশুরালীকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। বাদল (৪০) এর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা, হবি খাঁ (৬০) এর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, চরডুমুরিয়ার জামাল খান (৪২) এর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, বাদশা মোল্লা (৪৮) এর কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে পরে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়। এদিকে পুলিশ চরডুমরিয়া বাজারের সারের ডিলার লিটন (৩৮), নাজিম (২২), জুয়েল (২৪), জসিম (২৫), ইউসুফ (২৭) কে ধরে বেদম লাঠিপেটা করে। পরে বাজার কমিটির অনুরোধে ১৫শ’ টাকার বিনিময়ে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।

[ad#bottom]

Leave a Reply