২৫ অক্টোবরের ডেটলাইন ঘিরে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে সহোদর ২ ভাইসহ বিএনপি ও যুবদলের ৩ নেতার হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা। স্বজনরা হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাদের। তবু কোথাও তাদের সন্ধান মিলছে না। বুধবার দুপুর ও বিকেলের পর থেকে এরা নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ঘটনায় নিখোঁজ যুবদল-বিএনপির ৩ নেতার পরিবারে নেমে এসেছে অমোঘ অন্ধকার। যে পর্যন্ত এদের কোন হদিস না পাওয়া যায়, সেই পর্যন্ত স্বজনরা নানা শংকা আর আতংকে দিনাতিপাত করছেন। আইন-শৃংঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী লোকজন মাইক্রোযোগে এদের ধরে নিয়ে গেছে বলে দাবী করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গিবাড়ী থানায় পৃথক ৩ টি জিডি দায়ের করা হয়েছে।
আবার জেলা আইন-শৃংঙখলা রক্ষাকারী বাহিনী এদের গ্রেফতার বা আটকের কথা অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে পরিবার গুলো আরো বেশী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এরা এখন কোথায়-তা যেমন জানেন নিখোঁজ ৩ নেতার স্বজনরা, তেমনই পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও এদের সন্ধান দিতে পারছে না।
জানা গেছে, জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলা যুবদলের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক মিজান খাঁ (৪০) ও একই উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে (৩৪) জেলা শহরের আদালত প্রাঙ্গনের সামনে থেকে বুধবার দুপুরে মাইক্রোযোগে একদল সাদা পোষাকধারী লোক তুলে নিয়ে যায়। একই দিন বিকেলে যুবদল নেতা মিজানের সহোদর বড় ভাই টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান খাঁকে (৪৫) মূলচর গ্রাম থেকে সাদা পোশাকধারীরা মাইক্রোযোগে অন্যত্র তুলে নিয়ে যায় বলে দাবী করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নিখোঁজ মিজান খাঁর স্ত্রী সোমা আক্তার ও আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী শিরিন আক্তার সদর থানায় পৃথক ২ টি জিডি করেন। টঙ্গিবাড়ী থানায় পৃথক আরেকটি জিডি দায়ের করেন অপর নিখোঁজ আব্দুল মান্নান খাঁর স্ত্রী রুশিয়ারা বেগম। মান্নান খাঁ ও মিজান খাঁ সহোদর ২ ভাই। এরা দু’জন দিঘীরপাড় ইউনিয়নের মূলচর গ্রামের প্রয়াত নুর মোহাম্মদ খাঁর ছেলে। একই গ্রামের নিখোঁজ আনোয়ার হোসেন সেখানকার প্রয়াত মান্নান হোসেনের ছেলে।
এদের গ্রেফতার বা আটকের দায়-স্বীকার করছে না জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। সদর থানা, টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশ, র্যাব-১১ ও গোয়েন্দা সংস্থার কেউই বিএনপি ও যুবদলের ৩ নেতাকে গ্রেফতার করেনি বলে জোর দাবী জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো: হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন-নিখোঁজ নেতাদের পরিবারের পক্ষে পৃথক পৃথক জিডি দায়ের করেছে। জিডির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যমুনা নিউজ
Leave a Reply