মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্থানীয় সরকার ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হাই বলেছেন, আওয়ামী লীগ মনে করে এ দেশ তাদের বাপের সম্পত্তি। তারা যা খুশি তাই করবে, আমরা তা মুখ বুঝে সহ্য করবো তা হতে পারে না। দেশের ১৬ কোটি মানুষ জেগে উঠেছে। আপনাদের সময় শেষ। পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, জেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পেনডিং মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের পেনডিং মামলায় গ্রেপ্তার দেখালে আপনাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করবো। ১৫৭০ জন গোপালগঞ্জ মার্কা পুলিশকে চাকরি দেয়া হয়েছে। এ নিয়োগ আমরা মানিনা। আমরা ক্ষমতায় এসে তাদের নিয়োগ বাতিল করবো।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি বলেছিলেন এক চুলও নড়বেন না। কিন্ত এখন চুল নড়তে শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বাকি চুলও পড়ে শেষ হয়ে যাবে। বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট যাতে নির্বাচন করতে না পারে সে জন্য বার বার সংবিধান কাটা ছেড়া করে হয়েছে। এখন আন্দোলন করেই আমাদের দাবি আদায় করতে হবে। তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণদানকালে এসব কথা বলেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আতোয়ার হোসেন বাবুল, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তোতা মিয়া, জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি হাজী আক্তার ফারুক তোতা, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রামপাল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকর মাদবর, জেলা যুবদল সভাপতি সাবেক ভিপি তারিক কাশেম খান মুকুল, শহর বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, প্রথম যুগ্ন-সম্পাদক সাবেক ভিপি মো. শাহীন মিয়া, জেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আব্দুল আজিম স্বপন, পঞ্চসার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. কামাল পাশা, বিএনপি নেতা, তওফিকুল ইসলাম শরীফ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান বকুল, শহর যুবদল সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক বুরজাহান ঢালী, জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সদস্য সচিব মোজাম্মেল হোসেন সজল, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন, শহর ছাত্রদলের সভাপতি আরিফ আহাম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, শহর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।

ঢাকা নিউজ এজেন্সি