লৌহজং টানিংয়ে সিনো হাইড্রোর ড্রেজার

অবশেষে পদ্মা সেতুর বড় আকারের ড্রেজার দু’টি রোববার বিকেলে লৌহজং টার্নিয়ে পৌছেছে। তবে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের পলি অপসারণে এখনও কাজ শুরু হয়নি। তাই দশম দিনের মত এই রুটে ফেরি সার্ভিস অচল রয়েছে। ড্রেজিংয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, আজ সোমবার ডেজিং শুরু হবে বলে গত রাত সাড়ে ৮টায় জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) সুলতান আহমেদ খান। এদিকে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান শিমুলিয়ায় এসে রোববার জানিয়েছেন, তীব্র ¯্রােতের কারণেই এই ফেরি সার্ভিস ব্যাহত হচ্ছে। নাব্যতা সঙ্কটে ফেরি সার্ভিস এখন আর বিঘিœত হচ্ছে না। তিনি বলেন, অস্বাভাবিক ¯্রােতের কারণে সব ফেরি চলতে পারছে না। তবে নতুন ফেরি ‘কুসুম কলি’ ও ‘ক্যামেলিয়া’ চলতে পারছে। আগের ফেরিগুলো এমন ¯্রােতের জন্য তৈরী করা হয়নি। তবে এখন থেকে প্রবল ¯্রােতে চলার ক্ষমতা সম্পন্ন ফেরি তৈরী করা হবে। তিনি মনে করেন ¯্রােতের তীব্রতা কমলেই ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তার পরও নাব্য সঙ্কটের জন্য উচ্চ ক্ষমতার ড্রেজার ব্যবহার করা হচ্ছে।

এদিকে দেশের বৃহত ফেরি সার্ভিস শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি অচল থাকায় দক্ষিণাঞ্চলে লাখো মানুষের বিড়ম্বনা ছাড়াও এই অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্য বাজার জাত ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আনা নেয়া বিঘিœত হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান আহমেদ খান জানান, চীনা ড্রেজারের দায়িত্বে থাকা পদ্মা সেতুর নদী শাসনের উপ প্রকল্প পরিচালক জাং লিং তাকে জানিয়েছেন আজ সোমবার থেকে ড্রেজিং শুরু করা সম্ভব হবে। লৌহজং টানিং পয়েন্টের ৫ থেকে ৬ লাখ ঘন ফুট পলি মাটি অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিনো হাইড্রোর প্রতিটি ড্রেজার প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার মাটি খনন করতে সক্ষম। তাই প্রতিদিন কম করে হলেও ৫০ হাজার ঘন পলি মাটি অপসারন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ৫-৬ লাখ ঘনফুট মাটি খনন করতে ১০/১২ দিন সময় লাগবে। তবে চ্যানেলর মাঝে বিআইডব্লিউটিএর নিজস্ব ও ভাড়া করা ৪টি ড্রেজারও কাজ করছে। এতে নাব্য সঙ্কট নিসরসন সম্ভব হবে। এদিকে ফেরি অচল থাকায় অনেক যান ফিরে গেছে। তবে শিমুলিয়া প্রান্তে রোববার রাতে ৫০ যান পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে। ওপারের কাওড়াকান্দিতে প্রায় একই সংখ্যক যান রয়েছে।

এদিকে শনিবার কে-টাইপ ফেরি ‘কুসুম কলি’ ও ‘ক্যামেলিয়া’ ছাড়াও ছোট ফেরি ‘ফরিদপুর’ দিনে বেলায় চলেছে। বিআইডব্লউটিসির সহকারী ম্যানেজার শেখর চন্দ্র রায় জানান, সারাদিনে প্রায় ১১ ট্রিপ দিয়েছে। কিছু ছোট যান আসছে সেগুলো পার করা হচ্ছে। বাকী ১৫টি ফেরি অলস সময় কাটচ্ছে। এখনও ¯্রােত এখানে প্রতি সেকেন্ডে ৩ মিটার।

এদিকে পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। মাওয়ায় রোববার সন্ধ্যায় পদ্মার পানি ছিল বিপদ সীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচে। গত ২৪ ঘন্টায় এই পয়েন্টে কমেছে ১২ সেন্টিমিটার পানি। ভাগ্যকূলে পদ্মার পানি সন্ধ্যায় ছিল বিপদ সীমার ১১ সেন্টি মিটার উপরে। গত ২৪ ঘন্টায় এখানে পানি কমেছে সমপরিমান ১১ সেন্টিমিটার। এদিকে পদ্মা কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে আর নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দেয়নি। রবিবারও ভাঙ্গন রোধে অথিরিক্ত নিরাপত্তায় বালুর বস্তা ফেলা হয়।

বাসস

Leave a Reply