শ্রীনগরে আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপি-বিকল্পধারার লিয়াজোঁ!

বীরতারা ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন
আরিফ হোসেন: শ্রীনগরে ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে লিয়াজোঁ করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিএনপি ও বিকল্পধারার প্রার্থীরা। ফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে আর কোন প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী রইলো না। এনিয়ে তৃনমূল বিএনপির নেতা কর্মী ও বিকল্প ধারার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচৌধুরীর নিজের ইউনিয়নে তার দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা।

জানা গেছে, উপজেলার বীরতারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল মাষ্টার গত ৩১ জুলাই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেণ। এতে বীরতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়। শূন্য পদে নির্বাচনের জন্য ২১ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষনা করে উপজেলা নির্বাচন অফিস।

তফসিল ঘোষনার পর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সোহরাব হোসেন ও বিকল্পধারার প্রার্থী গাজী শহিদুল্লাহ কামাল ঝিলু তাদের দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। মনোনয়ন পত্র জমা দানকারী অপর প্রার্থীরা হলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল করিম মাষ্টার, জালাল মাষ্টারের ছেলে রেজাউল হাসান রাজু ও মো: সিদ্দিক লস্কর। নির্বাচন অফিস গত ১ সেপ্টেম্বর সকলের মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষণা করে। ৬ সেপ্টেম্বর ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।

এর আগে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষের শ্রীনগরের বাসায় গিয়ে অন্যরা নির্বাচন না করলে নিজেরা নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষনা দেন বিএনপি প্রার্থী সোহরাব হোসেন ও বিকল্প ধারার প্রার্থী গাজী শহিদুল্লাহ কামাল ঝিলু। অপর একটি সূত্র জানায়, বাকী ২ প্রার্থীর মধ্যে রেজাউল হাসান রাজুকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী করার আশ্বাষ দিলে সে তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেয়। ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল পর্যন্ত সতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিক লস্কর নির্বাচন করার জন্য অনর থেকে শেষ পর্যন্ত তার মনোনয়ন পত্রও প্রত্যাহার করে নেন। ফলে নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ফজলুল করিম মাষ্টার বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় বীরতারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

Leave a Reply