মঈনউদ্দিন সুমন: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ যুবক মো. ফয়সাল (৩২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঘটনার ১০ দিন পর আজ বুধবার বিকেল ৬টার দিকে ফয়সালের মৃত্যু হয়।

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত ফয়সাল মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রজ্জব আলীর ছেলে।

গত ৩১ মার্চ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে দেওয়ানবাজার এলাকায় ফয়সাল ও রিকশাচালক রুহুল আমিন (৪৫) গুলিবিদ্ধ হন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সরকারি হরগঙ্গা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছাত্রলীগনেতা রিয়াদ হোসেন পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সরদার রুবেলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। রুবেল দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা ফয়সাল ও রিকশাচালক রুহুল আমিন গুলিবিদ্ধ হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উভয়কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনায় ৩ এপ্রিল ছাত্রলীগনেতা রিয়াদকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ফয়সালের ভাই আনোয়ার হোসেন।

জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, ফয়সাল হত্যাচেষ্টা মামলাটি এখন হত্যা মামলা হবে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন গাজী জানান, গুলি করার ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

এদিকে ফয়সালের ওপর হামলার রেশ না কাটতেই ৩ এপ্রিল সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রতনপুর এলাকায় ইউপি সদস্য সরদার রুবেলকে লক্ষ্য করে আবার গুলি ছোড়ে সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক আল-আমিন, মান্নান, সাত্তার, জান্নান, আনিসুল হক ও হান্নান। এ সময় তিনি আবার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাঁকে ধরে ফেলে এলোপাতাড়ি পিটুনি দেয়। এতে তাঁর মাথা থেতলে যায়। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহতাব উদ্দিন কল্লোলের সমর্থক সরদার রুবেল। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনিসুজ্জামান আনিসের সমর্থকরাই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে তাঁকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছিল। সেদিন তিনি রক্ষা পেলেও অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন।

এনটিভি