মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বৃস্পতিবার একই এলাকার বাবু মিয়া (৩৮) এ ধর্ষণচেষ্টা করেন। এ ঘটনায় ওই নারী আজ শুক্রবার দুপুরে গজারিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, গত ৬ জুলাই মাদক মামলায় তার স্বামী গ্রেপ্তার হন। স্বামীকে জামিন করার উদ্দেশ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি মুন্সীগঞ্জ আদালতে যান। মুন্সীগঞ্জ আদালতে গিয়ে তার সঙ্গে দূর সম্পর্কের মামা শ্বশুর একই এলাকার বাবু মিয়ার সঙ্গে দেখা হয়। বাবু মিয়া তাকে মামলায় সহায়তা করার আশ্বাস দেন এবং এক হাজার টাকা দিয়ে সহায়তা করেন।

তিনি জানান, আদালতের কার্যক্রম শেষ করে উকিলের সঙ্গে কথা বলে বাড়ি ফিরতে ফিরতে তাদের সন্ধ্যা হয়ে যায়। রাত হয়ে যাওয়ায় বাবু মিয়া তাকে তার ভাড়া বাসায় পৌঁছে দেন। রাত ১১টা পর্যন্ত বাবু মিয়া ওই নারীর বাসায় অবস্থান করেন। এদিকে ওই নারী তার বাবার বাড়িতে থাকা দুই সন্তানের কান্নাকাটি খবর পেয়ে সন্তানদের কাছে যেতে চাইলে বাবু মিয়া তাকে সেখানে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন।

ওই নারী জানান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওই নারীর বাবার বাড়িতে যাওয়ার পথে এক কালভার্টের কাছে এসে জরুরি কথা আছে বলে তাকে অটোরিকশা থেকে নামতে বলেন। এ সময় ওই নারীকে কালভার্ট সংলগ্ন কাশবনে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন বাবু মিয়া। পরে ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন।

বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে আজ দুপুরে তিনি গজারিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মহিউদ্দিন আহমেদ ও শিপন মিয়া জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর চিৎকার শুনে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং ওই নারীকে উদ্ধার করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা বাবু মিয়াকে গণধোলাই দেয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন জানান, আজ ভোরে ভুক্তভোগী ওই নারী তার বাড়িতে এসে ঘটনাটি তাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি তিনি থানা পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানিয়েছেন।

এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত বাবু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘ওই নারীর পুরো পরিবার মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা কৌশলে আমাকে ঝামেলায় ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।’

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমাদের সময়