মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীসংলগ্ন গজারিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর মৌজায় নদী, শতবর্ষী পুরোনো একটি খাল ও আরেক কোম্পানির জায়গা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু ভরাট করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে আরেকটি কোম্পানি। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। দুটি কোম্পানি এবং স্থানীয়দের মধ্যে যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশের নয়ানগর গ্রামসংলগ্ন থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ড কোম্পানির পাশে এ ওয়ান নেভিগেশন লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি বালু ভরাটের জন্য ড্রেজার বসিয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বালু ভরাট কার্যক্রম শুরু করা না হলেও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে তারা। স্থানীয়রা জানায়, কোম্পানিটি যে জায়গাতে বালু ভরাট করতে চাচ্ছে তার অধিকাংশই সরকারি মালিকানাধীন নদীর জায়গা, রয়েছে শতবর্ষী পুরোনো একটি খাল ও থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ড কোম্পানির জায়গায়।

থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ড কোম্পানির পরিচালক (লজিস্টিক সাপোর্ট) এম এ রহমান আনসার বলেন, তারা যে জায়গায় বালু ভরাট করতে চাচ্ছে সেখানে থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ৫৯.০৫ শতাংশ জায়গা রয়েছে। তবে এ জায়গায় স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গজারিয়া থানায় একটা লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এ ওয়ান নেভিগেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আ ন ম জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার তার ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, সরকারি জায়গা যাতে কোনোভাবে দখল হতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। ইতিমধ্যে ভূমি অফিসের প্রতিনিধি ঐ জায়গা পরিদর্শন করে তাদেরকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে এসেছে।

গজারিয়া থানার ওসি মোল্লা সোহেব আলী বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

ইত্তেফাক