ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার অংশে পাল্লা দিয়ে চলছে মিনিবাস চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতা। আর চালকদের এ ধরনের খাম খেয়ালিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। পঙ্গুত্ব বরণ করছে সাধারণ পথচারী, চালক ও শিশুরা।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মহাড়কের বাউশিয়া পাখির মোড়, দরি বাউশিয়া, ভবেরচর, ভাটেরচর, বালুয়াকান্দি ও জামালদী এলাকায় গিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললে এমনটাই জানান তারা।

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, মহাসড়কের দাউদকান্দী ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে ছেড়ে আসা গজারিয়ার উপর দিয়ে চলাচলকারী মিনিবাস গুল মাঝে মধ্যে যেন রেসিংয়ে অবতীর্ণ হয়। অধিকাংশ চালকই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান আইন কানুনকে।

ভবেরচর থেকে হাইওয়ে মিনিবাসে করে যাওয়া সাইফুল ইসলাম, রাকিব, জনি, হৃদয় সহ বেশকিছু যাত্রীরা বলেন,মিনি বাসগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে রেসিংয়ে মেতে ওঠে মহাসড়কে। সিরিয়ালের গাড়ি হলেও একটি অপরটিকে পেছনে ফেলতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে সামনের গাড়ি না সরলে পেছনের গাড়িটা সজোরে ধাক্কাও মারছে।

আবার একটি গাড়ি আরেকটির সঙ্গে গা ঘেঁষে এমনভাবে চলছে, একটো খানিক চাপ দিলেই ঘটে যেতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা। এমরধ্যেও ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা, দু’টি গাড়ি গা ঘেঁষে পাল্লা দিয়ে চলতে গেলে একসময় ধাক্কা খেয়ে কাঁচ ভেঙে আহত হচ্ছেন অন্য মিনিবাসের যাত্রী। তাছাড়া, যাত্রী ওঠানামার সময় একটি গাড়ির আরেকটি গাড়িকে সাইড না দেওয়ার ঘটনা তো হরহামেশাই ঘটছে।

যাত্রীরা আরো অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডে মিনিবাস চালকরা বিশৃঙ্খলভাবে গাড়ি রাখছেন, যাত্রী তুলছেন। আসন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কেউ স্ট্যান্ড ছাড়তে চাইছেন না। যাত্রীদের চাপাচাপিতে মিনি বাসটি যখন অপর স্ট্যান্ডের দিকে ছুটে যায়, তখন এর গতি হয়ে ওঠে বেপরোয়া।

এক্ষেত্রেও কে কার আগে যাবে, তা নিয়ে ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। এমনকি পথচারী পারাপার সামনেও এই বেপরোয়া গতির লাগাম টানা হয় না। এজন্য যাত্রীরা চিৎকার চেঁচামেচি করেও দমাতে পারেন না চালকদের। এমন গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অনেক সময় পুরো মিনি বাসটাই উল্টে গিয়ে যাত্রীদের প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়াতে দেখা গেছে বিভিন্ন সময়ে।

এ বিষয়ে ভবেরচর হাইওয়ে থানা পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরাতে মিনিবাসের চালক ও হেলপারদের নিয়ে দ্রুত কর্মশালা করা হবে বলে জানান তিনি।

সময়ের আলো