সিরাজদিখানে মামলা না তোলার জেরে বাদী আনোয়ারা বেগম ও তার ছেলে এনামূল হক তুহিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে জাহাঙ্গির খান, আবুবক্কর খান ও তাদের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মালপদিয়াগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এনামূল হক তুহিনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

জানা গেছে, মারধর ও হুমকির ঘটনায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না ওই অসহায় পরিবার। এদিকে মারধরের পরে বাদীর পরিবারের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী জানান, আমার মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন মামলা নং-৩৮১/২৪ দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত সিরাজদিখান থানায় উক্ত মামলাটি নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য আদেশ প্রদান করিলে সিরাজদিখান থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-১১/০৯/২০২৪ খ্রিঃ ধারা-৪৪৭/৩২৩/৩২৬/৩০৭/১১৪/৫০৬(২)/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয় এবং বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। ওই মামলা দায়েরের জের ধরে বিবাদী জাহাঙ্গীর খান, রনি খান, আবু বক্কর খান মেম্বার, দেলোয়ার খানসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন মিলে ২০ সেপ্টম্বর বিকালে মালপদিয়া জামে মসজিদের সামনে মাঠে আমাদের ডেকে নিয়ে বিবাদীরা আমাকে এলোপাথারীভাবে কিল ঘুষি ও কাঠের ডাসা দিয়া আঘাত করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থা্নে জখম করে। তখন আমাকে বাচানোর জন্য আমার মা আনোয়ারা বেগম ও আমার পিতা মো. হোসেন মিয়া এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরবর্তীতে আমাদেরকে মসজিদের সামনে বসিয়ে রেখে হুমকি দিয়ে বলে যে আমার মা যদি তাহার দায়েরকৃত মামলা তুলে না নেন তাহলে আমাদেরকে প্রানে মেরে মরদেহ গুম করে দিবে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করে ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।

এ বিষয়ে মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল করিম বলেন, তুহিনদের মারাধরের কথা শুনেছিলাম। এ বিষয়ে অনেকবার মীমাংসার কথা হয়েছিল কিন্তু তারা কোর্টে মামলা করছেন শুনেছি।

সিরাজদিখান থানার এসআই মতিউর রহমান জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থ নেয়া হবে।

নিউজজি