মাঠ পর্যায়ে সিভিল ও পুলিশ প্রশাসন দ্বন্দ্ব

মুন্সীগঞ্জে মাঠ পর্যায়ে সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশের কর্মকর্তারা জেলা পর্যায়ের সিভিল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কোনো কথাই শুনছেন না। সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে এই দুই প্রশাসনের বিরোধ পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে। দেশের অনেক স্থানেই জেলা প্রশাসনের কথা শুনেনি পুলিশ প্রশাসন। যার ফলে সহিংসতার মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, প্রশাসন পুরো বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করছে। আর মুন্সীগঞ্জের ঘটনার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমদ বলেছেন, সারা দেশের সব জায়গায় যে সমস্যা তা কিন্তু ঠিক নয়। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা আছে। অনেক জায়গায় ভালো চলছে। তবে সরকার দেখছে কীভাবে এসব সমস্যা সমাধান করা যায়।

তিনি আরও জানান, মুন্সীগঞ্জের ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ প্রশাসন অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশ সুপারদের কাজ করার কথা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সমন্বয় হচ্ছে না। বরং পুলিশ নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ চতুর্থ দফা উপজেলা নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে মালামাল পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার এএসআই এমদাদ গজারিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অকথ্য গালিগালাজ করেন। এমনকি একপর্যায়ে ইউএনওকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। অসংখ্য লোকজনের সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইন ২০০২ ও পুলিশ আইন ১৮৬১-তে গজারিয়া থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশ সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি।

জানা গেছে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষেত্রেও জেলা প্রশাসনকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সহযোগিতা না করার অভিযোগ উঠেছে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

ব্রেকিংনিউজ

Leave a Reply