টঙ্গিবাড়ীতে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, ৭ দিনেও আসামি গ্রেপ্তার হয়নি

মঈনউদ্দিন সুমন: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গত ১০ জুলাই বাড়ির কাছের আমবাগানে খেলতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার পরদিন ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করলেও পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘গত ১০ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে আমার মেয়ে বাড়ির উত্তর দিকে রাজ্জাক মৃধার আমবাগানে খেলতে যায়। এ সময় প্রতিবেশী জুয়েল মৃধার ছেলে মো. মাহিন মৃধা (২০) মেয়ের মুখ চেপে ধরে গামছা দিয়ে হাত-পা বেঁধে বাগানের আরো ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় সহায়তা করে সম্রাট (২২)। ধর্ষণ শেষে আমার মেয়েকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। পরে চিৎকার শুনে পরিবার লোকজন গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করি। রাত ৮টার দিকে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।’

ছাত্রীর বাবা বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী। তাই ঘটনার এক সপ্তাহ চলে গেলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেনি।

এ সময় ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে যারা এই জঘন্য কাজ করেছে তাদের বিচারের দাবি জানাই। সমাজ এখন আমাদের ভিন্ন চোখে দেখতে শুরু করবে। মেয়ের পড়ালেখার জন্য স্কুলে কীভাবে পাঠাব, বাসা থেকে কীভাবে বের হবে তা ভাবলে কান্না আসে। সাতদিন হয়ে গেল, কেউই ধরা পড়ল না।’

জেলা সিভিল সার্জন সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ হেফাজতে মেয়েটিকে নিয়ে এলে আমরা চিকিৎসা দেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গিয়েছে।’

টঙ্গিবাড়ী ও সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী লিমা জানান, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সন্ধানে কাজ করছে পুলিশ। খুব দ্রুতই আসামিরা ধরা পড়বে।

টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা পলাতক আছে। তাদের খুঁজতে কাজ করছে পুলিশ। এ ছাড়া ধর্ষকের পরিবার গাজীপুরে থাকে, সে ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের কিছু বিষয় রয়েছে। অপরাধীরা দ্রুত আইনের আওতায় আসবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

এনটিভি

Leave a Reply