শ্রীনগরে পুলিশ ও সালিশদারদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ!

আরিফ হোসেন: শ্রীনগরে সালিশদারদের দাবী পূরণ না করায় এক মুরগী ব্যবসায়ীকে ইয়াবা ঢুকিয়ে পুলিশে সোপর্দের অভিযোগ উঠেছে। তবে সালিশদাররা বলছেন সালিশ মিমাংসায় ওই ব্যবসায়ীর কাছে কোন ইয়াবা পাওয়া জায়নি। পুলিশ কিভাবে কি করেছে তা তাদের অজানা। এঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। গত রবিবার রাতে উপজেলার উত্তর কামারগাও পাকা ব্রিজ এলাকায় এঘটনা ঘটে।

সোহেলের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, ওই দিন সন্ধ্যা রাতে উত্তর কামারগাও গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী ফিরোজ মিয়ার বাড়ী থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে স্থানীয় কয়েক যুবক সোহেলকে আটক করে পাকা ব্রিজ এলাকার একটি ক্লাবে নিয়ে আসে। এসময় সোহেলকে বেধম মারপিট করে তার কাছ থেকে নগদ ষাট হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনসেট কেড়ে নেওয়া হয়। রাত আটটার দিকে ওই ক্লাবের কর্মকর্তা ও ভাগ্যকূল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সালিশ মিমাংসা বসে। সালিশদাররা ফিরোজ মিয়ার শ্যালিকার সাথে সোহেলের অনৈতিক সম্পর্কের কথা বলে তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। সোহেল সালিশদারদের দাবীকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এসময় সালিশদাররা পুলিশে খবর দেয়।

শ্রীনগর থানার এসআই রহমত সালিশ মিমাংসা থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি জানান সোহেলকে ২০ পিছ ইয়াবা সহ ক্লাবে আটকে রাখা হয়েছিল। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সালিশদার সামাদ মেম্বার জানান, সোহেল ইয়াবার সাথে জড়িত নয়। তার কাছে কোন ইয়াবা পাওয়া যায়নি। অনৈতিক সম্পর্কের কারনেই তাকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সোহেলের এ পরকিয়া সম্পর্কের কারনে এর আগেও একবার সালিশ হয়েছিল। সে ঢাকা থেকে মুরগী এনে এলাকায় পাইকারী সাপ্লাই দেয়। অপর সালিশদার ভাগ্যকুল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আ ঃ গফুর জানান, ক্লাবে সোহেলের সাথে কোন ইয়াবা পাওয়া যায়নি। তাকে অনৈতিক সম্পর্কের কারণেই আটক করা হয়। সোহেলের মোবাইল সেট দুটি কেড়ে নেওয়ার কথা তিনি শুনেছেন বলে জানান। কিন্তু সালিশের নেতৃত্ব দানকারী রফিকুল ইসলাম জানান, সোহেলকে অনৈতিক সম্পর্কের কারনে আটক করা হলেও পরে তার কাছে ইয়াবা পায় পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, রফিকুল ও পুলিশের যোগসাজশেই একাজ হয়েছে।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাহিদুর রহমান জানান, সোহেলর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধারের পর মামলা নিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাসিঁয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply