ধর্ষকের সঙ্গে শিশুকে বিয়ের অভিযোগে মা গ্রেপ্তার

এগার বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণে সহযোগিতার পর ধর্ষকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেয়ার অভিযোগে শিশুটির মা ও ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গত বৃহস্পতিবার রাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- শিশুটির মা রওশন আক্তার (৩৬) ও ধর্ষণে অভিযুক্ত ইয়াসিন (২৯)। এই ঘটনায় শুক্রবার সকালে শিশুটির মায়ের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন শিশুটির বাবা শাহ আলম। ভুক্তভোগী শিশুটি বর্তমানে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুন বিকালে শিশুটির বাবা বাসায় ফিরে দেখেন ঈদের কেনাকাটা করার কথা বলে তার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন। কিন্তু তারা বাসায় না ফেরায় ও স্ত্রীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তিনি পর দিন তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে কুমিল্লায় শ্বশুরকে ফোন করে স্ত্রী এবং কন্যা মুন্সীগঞ্জ অবস্থান করছে জেনে র‌্যাবের সাহায্য চান তিনি। এরপর গজারিয়ার বাউশিয়ায় ইয়াসিনের কথিত নানা বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে র‌্যাব সদস্যরা। গ্রেপ্তার করা হয় ইয়াসিন ও রওশনকে। তবে অভিযানকালে ওই বাসা থেকে পালিয়ে যায় কয়েক জন।
শিশুটি র‌্যাব এবং তার বাবা শাহ আলমকে জানায়, গত ১৮ জুন তাকে নিয়ে তার মা ফার্মগেট এলাকায় যায় এবং সেখানে কয়েকজন মিলে তাকে জোরকরে প্রাইভেটকারে তুলে হাতে একটি আংটি পরিয়ে দেয়। এরপর তাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের একটি বাড়িতে উঠে ইয়াসিন। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে। ২১ জুন মুন্সিগঞ্জ নিয়ে স্থানীয় আলম চান (৫২) ও আনোয়ারা বেগমসহ (৪৭) স্থানীয় মেম্বার, মৌলভী মিলে ইয়াসিনের সাথে বিয়ে দেওয়ায়। এই পুরো ঘটনাতে তার মা সহায়তা করে।

শিশুটির এক স্বজন জানান, ইয়াসিনের সাথে শিশুটির মায়ের ‘অবৈধ সম্পর্ক’ ছিল। সেটা টিকিয়ে রাখতে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ইয়াসিনকে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিল রওশন আক্তার।

শেরেবাংলা নগর থানার ওসি গনেশ গোপাল বিশ্বাস জানান, রাজধানীর একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া শিশুটির বাবা পেশায় ব্যবসায়ী। মেয়েটি তাদের একমাত্র সন্তান। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। শিশুটিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

আমাদের সময়

Leave a Reply