মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বাসর সজ্জার রাতে ঢুকে এক নববধূকে কুপিয়ে জখম করেছে তার প্রেমিক। নববধূ নাজমা আক্তার (৩০)-কে গুরুর আহতাবস্থায় মিডফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার পূর্ব খৈয়াগাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এলাকাবাসী প্রেমিক শাহীন (৩৫)-কে আটক করে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় বুধবার নাজমার স্বামী মো. আলী বাদী হয়ে শাহীন, তাসলিমা ও আমিনুলকে আসামী করে শ্রীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত মঙ্গলবার দিন পূর্ব-খৈয়াগাও গ্রামের ছাবেদ আলীর বিধবা মেয়ে নাজমা বেগমের সাথে তার ডিভোর্সপ্রাপ্ত ফুফাত ভাই মো. আলীর (৪০) বিয়ে হয়। বিয়ের দিবাগত রাতে মেয়ের পিত্রালয়ে নবববধূ ও বর বাসর সজ্জায় শায়িত হন। গভীর রাত দেড়টার দিকে প্রকৃতির ডাকে বর মোহাম্মদ আলী ঘরের বাইরে বেরোয়। ওই সুযোগে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা নববধূর প্রেমিক মো. শাহীন ধারালো ছুরিহাতে বাসর-ঘরের ভেতর নববধূর উপর হামলে পড়ে। এ সময় নববধূর শরীরের উর্পযুপরি ছুরিকাঘাত করে পালাতে গেলে নববধূর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে প্রেমিক শাহীনকে আটক করে গ্রামবাসী।
অপর একটি সূত্র জানায়, মো. আলী ৫ বছর আগে নাজমার আপন চাচাতো বোন তাসলিমাকে বিয়ে করেন। চার মাস আগে তাসলিমার ইচ্ছায় তাদের ডির্ভোস হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার তাসলিমার বাবা আব্দুস সামাদ উকিল বাবা হয়ে মো. আলীর সাথে নাজমার বিয়ে দেন। আব্দুস সামাদ জানান, তাসলিমা তার অবাধ্য মেয়ে। সে আক্রোশ মিটানোর জন্য তার দুলাভাই আমিনুলের সহায়তায় শাহীনকে ক্ষেপিয়ে তুলে। এব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রকৃত কারন ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকা নিউজ এজেন্সি
Leave a Reply